পুঁজি কমলো আরও ১১ হাজার কোটি টাকা
তিন দিন পতন আর দুদিন সূচক বৃদ্ধির মাধ্যমে আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। দেশির ভাগ দিন দরপতন হওয়ায় বিদায়ী সপ্তাহেও সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে নতুন করে বিনিয়োগকারীদের মূলধন (পুঁজি) কমেছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে পুঁজি কমেছিল সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহের (২৫ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই) লেনদেন শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপের মাধ্যমে। ফলে বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রোববার ক্রেতার অভাবে সূচকের বড় পতন হয়। তবে সোম ও মঙ্গলবার ইতিবাচক ধারায় লেনদেন হয়। তারপর দিন বুধবার থেকে আবারও শুরু হয় দরপতন, যা অব্যাহত ছিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা, ডলার মার্কেটের অস্থিরতার পাশাপাশি যোগ হয়েছে দেশে জ্বালানির মজুত ইস্যু। এ ইস্যুগুলোকে কেন্দ্র করে বাজারে নানা গুজব ছাড়িয়ে পড়ে। তাতে দরপতন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ২৯৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে উত্তেজিত হবেন না
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪৬ দশমিক ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন (পুঁজি) ১১ হাজার ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকা কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩ হাজার ১১৯ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮ টাকা। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪২১ টাকায়। অর্থাৎ মূলধন কমেছে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ ২৪ হাজার ২৩১ টাকা।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৩৭১ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৫৯৭পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ২৬১টি।
এমআই/এসএসএইচ