শেয়ার বিক্রির চাপে পুঁজিবাজারে দরপতন
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানা উদ্যোগের পরও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। শেয়ার বিক্রির চাপে সোম ও মঙ্গলবার দুদিন উত্থানের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুই দিন দরপতন হলো। এর আগে টানা ৯ কর্মদিবস দরপতন হয়েছিল।
গতকালের মতো আজও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব শেয়ারের দাম বেড়েছে। এই খাতের দেখাদেখি ব্যাংক-বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ লেনদেন হওয়া সবকটি খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। এতে সূচক ও লেনদেনও কমেছে পুঁজিবাজারে।
বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১০ কোটি ৮৪ হাজার ৮০৬টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে।
এ দিন ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩৩৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ দাম কমার শীর্ষে ছিল ফাস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল, গ্লোবাল হেবি কেমিক্যাল, সমতা লেদার, ইউনিক হোটেল, লিন্ডে বিডি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, ক্রাউন সিমেন্ট, সোনালী পেপার, বঙ্গজ এবং জুট স্পিনার্স লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৪ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৪০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ ৯৩ হাজার ১৭০ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৪ টাকা।
এমআই/এসকেডি