এখনও চড়া মাছের বাজার
ঈদের পর থেকেই বাড়তি মাছের দাম। অন্যদিকে মাংসের দোকানে ক্রেতা কম থাকলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। পাশাপাশি বেড়েছে ডিমের দামও।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর মাছের চাহিদা বেড়েছে। তাই দামও কিছুটা বেশি। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ভালো মাছের পাশাপাশি কম দামের মাছগুলোর এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের বড় কই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২২০ টাকা কেজি, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ টাকা, পাবদা আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছোট সাইজের ইলিশ ৮৫০ টাকা কেজিতে আর মাঝারি সাইজের ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০ এবং দেড় কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গরু, খাসির মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর থেকে এখনও সেভাবে মাংস বিক্রি শুরু হয়নি। ক্রেতারা এখন কম মাংস কিনছেন। আজ বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা আর খাসির মাংস ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। বাজারে বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন, হাঁসের ডিম ১৮০ এবং দেশি ডিম ১৮০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালী কাঁচা বাজারে মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হক মুন্না বলেন, ঈদের পর যখন মানুষ মাংস খাওয়া ছেড়ে মাছের প্রতি বেশি আগ্রহী হলো তখন থেকেই মূলত মাছের দাম বেড়েছে। ঈদের পর থেকে যে মাছের দাম বাড়ল এখনও তা কমেনি। পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, চাষের কই এ গুলো সাধারণত কম দামে বিক্রি হতো। কিন্তু এখন সেগুলোও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের মাছ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজারেই সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি। আমাদের কেনা পড়ছে আগের চেয়ে বেশি দামে, তাই খুচরা বাজারে আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কেনা দাম কম পড়তে শুরু করলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব। আসলে মাছের দাম ঈদের পর বৃদ্ধি পেয়েছে, এরপর আর কমেনি।
এএসএস/এসকেডি