কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম
লেনদেনের শেষ আধা ঘণ্টা সূচক উত্থানের বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। তবে ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমায় সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। এর ফলে ঈদ পরবর্তী টানা তিন কর্মদিবসই পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। ফলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন হয় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায়। তবে দিনের শেষ আধা ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। এদিন ডিএসইতে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৩টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৯৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টির দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে দশমিক ৩৬ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ৯০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে ৫৮০ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন (বুধবার) লেনদেন হয়েছিল ৭০২ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার।
আরও পড়ুন : আছিয়া সি ফুডসের লেনদেন শুরু ১৮ জুলাই
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে তিতাস গ্যাসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছে- বেক্সিমকো, কেডিএস এক্সেসরিজ, আইপিডিসি, জেএমআই হসপিটাল, পাওয়ার গ্রিড, ফুয়াং ফুড, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সুজ এবং মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪৫ লাখ ৪ হাজার ৩১৪ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৮০ টাকা।
এমআই/আইএসএইচ