রবির পক্ষে আবারও সাফাই গাইলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান
চার পয়সা শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পক্ষে আবারও সাফাই গাইলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘রবি যখন তালিকাভুক্ত হয়েছিল, তখন কোম্পানির ইপিএস ছিল চার পয়সা, এখন হয়েছে ৩৩ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি আমাদেরকে কাগজে যে হিসেব দেখিয়েছে তাতে আগামী প্রান্তিকে আয় হবে এক টাকা। আশা করছি কোম্পানিটি ভালো হবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে সাতগুণ মুনাফা বৃদ্ধির পরও শেয়ারহোল্ডারদের নো ডিভিডেন্ট ঘোষণা করে রবি আজিয়াটা। এই কথা শুনে কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতি। এরপর কোম্পানির পর্ষদসহ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে জরুরী তলব করে কমিশন। শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। ঠিক তার এক সপ্তাহ পর আজ এক প্রশ্নের জবাবে সেই কোম্পানির প্রশংসা করলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান।
বিশেষ সুবিধা নিয়ে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান ইপিএস ৩৩ হয়েছে পয়সা। গত বছর কোম্পানির ইপিএস ছিল ৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সায়। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ছিল ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।
‘নো’ ডিভিডেন্ড লভ্যাংশের বিষয়টি শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হবে। আগামী ২১ মার্চ এ সভা হবে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ মার্চ।
নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আইপিও খরচের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ছেড়ে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহ করে রবি। এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে ডিএসই ও সিএসই উভয় বাজারে লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের শুরু থেকে টানা ১৫ কার্যদিবস কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে ৭৭ টাকা ১০ পয়সা পর্যন্ত উঠে। এরপর শেয়ারটির দাম কমতে থাকে। সর্বশেষ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ার থেকে ৩৫ টাকা উধাও।
এমআই/ওএফ