শসার সেঞ্চুরি, কাঁচা মরিচ-টমেটো ১৬০
রাজধানীর মুগদা বাজারে দাম জিজ্ঞাসা না করেই এক কেজি শসা, আধা কেজি টমেটো, আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচ নিয়েছেন এক ক্রেতা। কত হয়েছে জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, ২৫০ টাকা।
দাম শুনে বিক্রেতার দিকে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ক্রেতা বললেন কীভাবে হলো এতো টাকা? বিক্রেতা বললেন- শসা এক কেজির ১০০ গ্রাম ১৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০, টমোটো ৮০ টাকা। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শসা রেখে কাঁচা মরিচ, টমোটো সঙ্গে এক হালি লেবু নিয়ে চলে গেলেন ক্রেতা।
একদিন পর মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির মাংসের অন্যতম অনুষঙ্গ সালাদ; যা তৈরি করতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় শসা, টমেটো, গাজর ও কাঁচা মরিচ। তাই ঈদ উপলক্ষে সালাদের এসব উপকরণের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর মুগদা-খিলগাঁও ও গুলশান বাজারে ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারের বিক্রেতারা জানান, হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে সালাদ উপকরণের। যদিও অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে অনেকটাই আগের মতো।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ দ্বিগুণ বেড়েছে শসার দাম। এক দুইদিন আগেও যে শসা বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আজকে বাজারে ওই শসা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
মুগদা বাজারের সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, হঠাৎ করে শসা আর কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। আজ ঘাটেই (আড়তে) শসার দ্বিগুণ দাম। ঈদের কারণে দাম বেড়েছে। গাড়ি ভাড়া বেশি। চাহিদা বেড়েছে, তাই দাম বাড়ছে।
কাঁচা মরিচ গতকাল ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। তার আগের দিন ছিল ১০০ টাকা। আজকে বিক্রি করছি ১৬০ টাকা। এছাড়া টমেটো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, শসা দেশিটা ১২০ টাকা, বড় আকারের হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। লেবু প্রতি হালি ১৬ থেকে ২০ টাকা।
সালাদের এসব উপকরণের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য সবজির দাম। কাঁচাবাজারগুলোতে আজকে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি সাদা আলু ২৮-৩০ টাকা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা। পটল, ধুনদল, ঝিঙা কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিস ২০-৩০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুরলতি ও কচুরমুখী ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০-৩৬ টাকা দরে বিক্রি করছে।
বাজারের সবজি কিনতে আসা সালাম বলেন, গত পরশু শসা কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। আজকে চাচ্ছে ১২০ টাকা। আজব দুনিয়া। ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ক্রেতা বলেন, আজকে শসা কিনবো না। গত সপ্তাহে টমেটোর দাম বেড়েছিল, মানুষ কেনেনি, দাম কমে গেছে। আজ থেকে শসা না কেনে দেখবেন দাম আবার কমে যাবে। দেশে এমন কী ঘটলো যে একদিনে শসার দাম দুইগুণ হলো, মরিচের দাম ৬০ টাকা বেড়ে গেল।
এসআই/এনএফ