বিড়ির শুল্ক কমানোর দাবি
বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিড়ি শ্রমিকরা। সোমবার (৬ জুন) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং দেশীয় শিল্প বিড়িকে রক্ষা করার দাবি জানান শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে এনবিআর চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সভাপতি এম. কে. বাঙ্গালী। আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, লোকমান হাকিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশীয় শ্রমিকবান্ধব শিল্প। অথচ দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত করা হচ্ছে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবিসি) ও এনবিআরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। তারা বিড়ির ওপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। শ্রমিকদের কর্মরক্ষার্থে সরকারের কাছে আমরা বিড়ির ওপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প। সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিক ও পরিবারের রুটি-রুজির একমাত্র অবলম্বন এই বিড়ি শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদানি করা ও প্রযুক্তি নির্ভর। বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। ব্রিটিশ বেনিয়াদের দোসর ও নব্য মীরজাফর আত্মা এবং প্রজ্ঞা বিড়ি শিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিভিন্ন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিড়ি শিল্প ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধ করা না হলে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে সব চক্রান্ত প্রতিহত করব।
আরএম/এসএসএইচ