ফের দরপতনের বৃত্তে পুঁজিবাজার
দিনভর সূচকের ওঠানামার পর পতনে শেষ হয়েছে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার (২৫ মে) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন। এদিনও ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অধিকার খাতের শেয়ারের দাম কমায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১২০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। এর ফলে সোমবার সূচক বৃদ্ধির পর মঙ্গল ও বুধবার টানা দুদিন দরপতন হলো। এর আগে টানা আট কার্যদিবস দরপতন হয়েছিল। সব মিলে ঈদপরবর্তী ১৪ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১ কর্মদিবস দরপতন হয়েছে। এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি কমেছে ২৯ হাজার ৫৪৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার বাজারে ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৭৮৯টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৫০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৩ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।
বুধবার ডিএসইতে ৫১৩ কোটি ১১ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬০ কোটি ৮৪ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয় আইপিডিসি, শাইনপুকুর সিরামিক, জেএমআই হসপিটাল, ফরচুন সুজ, এসিআই ফরমুলেশন, স্কয়ার ফার্মা, জিএসপি ফাইন্যান্স, সোনালী পেপার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২০ পয়েন্টে।
এ বাজারে ২৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ১৪৪ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৭০ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৮ টাকা।
এমআই/জেডএস