এডিবির ঋণ প্যাকেজ বেড়ে ২৩ বিলিয়ন
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ প্যাকেজ বেড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। করোনা সংকট মোকাবিলা এবং সবুজ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ২০২১ সালে ২২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্যাকেজ সংগ্রহ করেছিল এডিবি।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এডিবি’র বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এডিবি জানায়, করোনা মোকাবিলা এবং সবুজ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ২২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঋণ বাংলাদেশসহ এডিবির সদস্যভুক্ত দেশগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
সংস্থাটির ৬৮টি সদস্য দেশ রয়েছে। ৪৮টি দেশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার। এসব এলাকায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এডিবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করা এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে সমর্থন করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সবুজ পুনরুদ্ধারের ভিত্তি স্থাপন করতে যাচ্ছি। যা আমাদের কৌশল ২০৩০ এর লক্ষ্য বাস্তবায়ন সহজ হবে।
প্রতিশ্রুত ২২ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূলত, ঋণ, অনুদান, ইক্যুইটি বিনিয়োগ এবং সরকার ও বেসরকারি খাতে প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সহায়তার অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে এডিবি সহ-অর্থায়নে ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ঋণ সংগ্রহ করেছে।
এডিবি’র প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১৩ দশমিক ৫ বা ৫৯ শতাংশই করোনা সংকটের জন্য। যদিও এই অঙ্গীকারগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করা। এটি মহামারি শেষ হওয়ার অনেক পরেও এই অঞ্চলকে সাহায্য করবে।
মহামারি থেকে উত্তরণে ব্যাংক খাতের জন্য রয়েছে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থায়নের ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন নীতি-ভিত্তিক ঋণ এবং ২৫ কোটি ডলার মহামারি প্রভাবে বিকল্প কাজে ব্যবহার করা হবে।
মহামারি মোকাবিলার অংশ হিসেবে নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা সংগ্রহ এবং বিতরণ সক্ষমতার জন্য ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে সংস্থাটি।
এসআর/এমএইচএস