মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
অক্সিজেনের নির্ভরযোগ্য ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে অংশীদারিত্ব স্থাপন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এই অংশীদারিত্বের আওতায়, হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহে সক্ষম একটি প্রেসার সুইং আবসর্পশন (পিএসএ) অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনুদান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্ল্যান্টের মোট ধারণক্ষমতা প্রতি মিনিটে ৪৩৬ লিটার। দেশের প্রথম কোনো ব্যাংক হিসেবে মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট অনুদান দিল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এর আগে, মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালসহ মোট তিনটি দাতব্য হাসপাতালে পিএসএ অনুদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল ব্যাংকটি। এই প্ল্যান্টগুলোর মোট ধারণক্ষমতা প্রতি মিনিটে ১৭০০ লিটার পর্যন্ত অতিক্রম করবে।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম; স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়; কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং হেড বিটপী দাস চৌধুরী।
আরও ছিলেন, চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সভাপতি প্রফেসর এম এ তাহের খান, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ পরিচালক প্রফেসর ড. ওয়াজির আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, করোনার কঠিন বাস্তবতা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। মহামারির চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যস্থিত করেছিল স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
তিনি আরও বলেন, সবার জীবন-জীবিকা নিশ্চিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এই লক্ষ্য পূরণে চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালকে অংশীদার হিসেবে পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তাদের সাহায্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কোভিডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।
চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সভাপতি প্রফেসর এম এ তাহের খান বলেন, করোনা মহামারিতে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব এক কঠিন সময় পার করছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা। এমতাবস্থায় মানবতার কল্যাণে আমাদের করোনা ইউনিটের জন্য অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এটি অক্সিজেনের ক্রমাগত সরবরাহ বজায় রাখতে আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
দেশের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির ধারা অব্যাহত রেখে, গত বছর করোনা পরিস্থিতিতেও ৩০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্য অটুট রেখেছে।
এসআই/এমএইচএস