এডিপি কমছে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা কমছে। এর ফলে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা চূড়ান্তভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে সরকার।
চলতি অর্থবছরে সরকার ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছিল। এ অর্থের বিপরীতে ১ হাজার ৭৫৪ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মোট বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং দেশীয় অর্থায়ন ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মোট প্রকল্প সংখ্যা ১০৭টি। এসব প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। মূল এডিপি থেকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বরাদ্দ আলাদা করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে এডিপি থেকে আরএডিপিতে (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস অনেক আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরের ২ মার্চ আরএডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপির অনুমোদন দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।
বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে আরএডিপি রিভিও সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কৃষি, শিল্প ও সমন্বয় উইং) মো. ছায়েদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন ধরে চূড়ান্ত আরএডিপি ২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ব্যতিত উন্নয়ন বরাদ্দ ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।
বরাদ্দ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশীয় অর্থায়ন ঠিকই খরচ হচ্ছে কিন্তু বৈদেশিক অর্থায়নে কমছে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। অনেক প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থায়ন খরচ হয়নি। চূড়ান্ত এডিপিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ থাকবে।
এসআর/আরএইচ
