দীর্ঘদিনের প্রণয় থেকে নোয়াখালীতে নারীকে ধর্ষণ : পিবিআই
‘আসামি ফুয়াদ আল মতিনের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর দীর্ঘদিনের প্রণয় ছিল। সেই প্রণয়ের সূত্রে দেখা করতে এলে ড্রিংকসের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। আসামি দেশ ত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। পিবিআইয়ের ছায়া তদন্তের ফলে দেশ ত্যাগে সফল হয়নি সে।’
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পিবিআইয়ের কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, আসামি ফুয়াদ আল মতিন কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে একটি হোটেলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অবস্থান করেন। এ সময় তিনি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রাথমিকভাবে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. সিরাজুল মোস্তাফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অজ্ঞাত একজন ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করেছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদ ইউনিয়নে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এক গৃহবধূকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে চাটখিল থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন এবং তার সহযোগীকে আসামি করা হয়। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পরপরই পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। ওই গৃহবধূ নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে ওই গৃহবধূ বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফুয়াদ আল মতিন আমাকে তার অফিসে ডেকে নেন। অফিসে যাওয়ার পর আমাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার পাশে থাকা একজন ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছে।
হাসিব আল আমিন/আরএআর