মেঘনায় বাল্কহেড-ডুবি, এখনো উদ্ধার হননি নিখোঁজ শ্রমিক
মুন্সিগঞ্জের নিকটে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও বালুবাহী বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ শ্রমিককে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধারের কাজ চলছে।
নিখোঁজ শ্রমিকের নাম মোতালেব বলে নিশ্চিত করেছে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। তিনি ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা।
কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াছ ঢাকা পোস্টকে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮দিকে বলেন, এমবি সুরুভি-৭ নামে একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে যাত্রী বোঝাই করে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। চাঁদপুর থেকে বালু বোঝাই করে একটি বাল্কহেড নারায়ণগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। রাত ১১টার দিকে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীর সোনারগাঁওয়ের চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় এলে লঞ্চটি বাল্কহেডের ওপরে উঠিয়ে দেন চালক। এতে ছয়জন শ্রমিক নিয়ে বাল্কহেডটি পানিতে ডুবে যায়। সেখান থেকে ৫ শ্রমিক সাঁতরে উঠতে পারলেও একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সুরভী-৭ লঞ্চের সামনের অংশের কাচ ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে লঞ্চটির তেমন বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চে থাকা যাত্রীদের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে উঠিয়ে দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটিকে নিরাপদে তীরে ভেড়ানো হয়েছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের উদ্ধারকাজ এবং নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধান চলছে।
স্থানীয়রা জানান, লঞ্চ বাল্কহেডকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় নদীর মাঝখানে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। তারা নদীর তীরে এসে দেখেন বাল্কহেড নদীতে ডুবে গেছে। তবে লঞ্চের যাত্রীরা সবাই নিরাপদে আছেন। তারা আরও বলেন, রাতের বেলায় বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরও পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে চলছিল এগুলো। লঞ্চ ডুবে গেলে হয়তো বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারত। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথা বলেন তারা।
রাতে বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পুলিশের টহল থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চলে, এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই মো. ইলিয়াছ বলেন, আমাদের টহল চলমান আছে। আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দু-একটা চলে।
ব.ম শামীম/এনএ