ফরিদপুরে সংবর্ধিত হলেন ১০ নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা
স্বাধীনতা অর্জনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই প্রথম জাতীয়ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলার ১০ জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) মো. জামাল পাশা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল ফয়েজ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জামাল, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক মাশউদা হোসেম প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকার ভিত্তিতে দেশে মোট ৬৫৪ জন মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানী ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি একই সময়ে দেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মধুখালী উপজেলার উম্মে সালমা, বেগম শামসুন নাহার, ফাতেমা বেগম, আম্বিয়া বেগম, ফুলজান বেগম, ফরিদপুর সদর উপজেলার পারুল বালা সাহা, মায়া রানী সাহা, ভাঙা উপজেলার আরতী রানী ঘোষ ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার অলোকা ঘোষ সম্মাননা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে নগরকান্দা উপজেলার নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জরিনা বেগমের পক্ষে তার কন্যা রোকেয়া বেগম সম্মাননা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রাপ্ত সব নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ফুলের তোড়া, ক্রেস্ট, মাস্ক, শাড়ী ও চাদর তুলে দেওয়া হয় । এ ছাড়া জেলা প্রশাসক তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নারী বীর মুক্তি যোদ্ধাদের ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
জহির হোসেন/আরআই