ঈশ্বরগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০ বাড়ি ভাঙচুর
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় বিজয়ী ইউপি সদস্যের বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দুটি গরু পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সহিংসতার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার সপ্তম ধাপে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ আজ সকালে (মঙ্গলবার) উপজেলার ৯ নম্বর উচাখিলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মরিচারচর মাইজপাড়া গ্রামে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার। বাশার নিজের নির্বাচনের পাশাপাশি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের পক্ষে কাজ করেন। এ এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম। নৌকার পক্ষে কাজ করায় আবুল বাশার ও তার স্বজনদের বাড়িতে সহিংসতা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মেম্বার বাশারের বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় দুটি মোটরসাইকেলে ও অন্তত ৫টি খড়ের গাদায়। স্থানীয় আবদুল মজিদ ও এবাদুলের দুটি গরু পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, এ ছাড়া নিয়ে যায় দুটি ছাগল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবুল বাশার বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন অকারণে তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট করেছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নৌকার প্রার্থীর নির্দেশে আমার বাড়িতে হামলা করতে আসে বাশার মেম্বারের লোকজন। এ সময় আমাদের একটি ঘর ভাঙা হয়। পরে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে হামলা প্রতিহত করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উবায়দুল হক/আরআই