মুক্তি পেলেন ময়মনসিংহের সেই অটোরিকশাচালক
অস্তিত্বহীন মামলায় ভুয়া পরোয়ানায় ১১ দিন ধরে কারাগারে থাকা ময়মনসিংহের সেই অটোরিকশাচালককে অব্যাহতি দিয়েছেন বরগুনার আদালত। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি গায়েবি মামলার ভুয়া পরোয়ানায় তাকে আটক করে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
অটোরিকশাচালক বুলবুল ইসলাম বুলুর (৪০) বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের জামতলী গ্রামে। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, সারা দিন অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালান বুলু। ২০ জানুয়ারি সারা দিন রিকশা চালিয়ে বিকেলে বাড়ি-সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে বসে ছিলেন তিনি। এ সময় ত্রিশাল থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে জানায় তার নামে বরগুনা সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তারপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বুলুর স্বজনরা বরগুনা সদর থানা ও আদালতে খোঁজ নেন। কিন্তু এ ধরনের কোনো মামলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে বুলুর চাচাতো ভাই উজ্জল মিয়া বুলুর মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন করেন।
এ কারণে রোববার দুপুরে এ মামলার কোনো অস্তিত্ব না থাকায় বুলুকে অব্যাহতি দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাসানুল ইসলাম।
বুলুর চাচাতো ভাই উজ্জল মিয়া বলেন, আমার ভাই কখনো ময়মনসিংহ জেলার বাইরেও যাননি। তবু তাকে ষড়যন্ত্র করে ১১ দিন জেল খাটানো হয়। ত্রিশাল পুলিশ বিষয়টিকে যাচাই-বাছাই না করেই আমার ভাইকে আটক করে। আজ আদালত কাগজপত্র দেখে বুলুকে অব্যাহতি দেন।
এ বিষয়ে বুলবুল ইসলামের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, আমি আজ বরগুনা আদালতে বুলুর মুক্তির জন্য আবেদন করি। জেলা ও দায়রা জজ যাচাই-বাছাই করে দেখেন ওয়ারেন্ট ছিল ভুয়া। পরে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন আদালত। দু-এক দিনের মধ্যে মুক্তির আদেশ ময়মনসিংহের জেল সুপারের কাছে যাবে এবং বুলু মুক্তি পাবেন।
এনএ