চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী ট্রেনের সঙ্গে ভটভটির সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আলীনগর-হাজীর মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
নিহতরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আলীনগর এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মেহের আলী (৫০), আলীনগর-ভূতপুকুর এলাকার মৃত গরিবুল্লাহর ছেলে ফুলচান আলী ও সদর উপজেলার ঝিলিমের আমানুল্লাহর ছেলে নাইমুল ইসলাম। নিতহরা সবাই মাছ ব্যবসায়ী। মাছ বিক্রি করে তারা ভটভটিতে করে ফিরছিলেন।
জানা যায়, নির্ধারিত সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায় রাজশাহী মেইল ট্রেন। স্টেশন থেকে কয়েক শ মিটার দূরেই আলীনগর-হাজীর মোড়ে রাস্তা পার হওয়া ভটভটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের। এ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ভটভটিতে থাকা তিনজনই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, সেখানে কোনো লেভেলক্রসিং না থাকায় বিনা বাধায় পার হয় গাড়ি। রাজশাহী মেইল ট্রেন হাজীর মোড় পার হওয়ার সময়ে ভটভটির অতিরিক্ত শব্দে তারা ট্রেন আসার বিষয়টি জানতে পারেননি। ফলে একই সময়ে ট্রেন ও ভটভটি লাইনের ওপর চলে আসায় এই সংঘর্ষ হয়।
আলীনগর এলাকায় শিশির আহমেদ জানান, ভটভটিকে লাইনে অনেকদূর ঠেলে নিয়ে যাওয়ার পর তারা কাটা পড়ে। তিনজনেরই দেহ ট্রেনে কাটা পড়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারা সবাই মাছ বিক্রি করে বাসায় ফিরছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ওবাইদুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্ধারিত সময়েই ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে গেছে। ছেড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের নিচে লাশ পড়ে থাকায় দীর্ঘ সময় ট্রেন সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। পরে লাশ সরানো হলে ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ঘটনার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান, সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন। মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জিআরপি পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে জিআরপি ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। পরে মরদেহ হস্তান্তরসহ অন্যান্য বিষয় জিআরপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে সিধান্ত নেবেন।
জাহাঙ্গীর আলম/এমএসআর