শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসি

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে লিজা আক্তার (১৩) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় চাচাসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে শিশুর মরদেহ গুম করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি আব্দুস ছালাম খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লিজা আক্তারের চাচা ফরিদ শেখ ও তার চাচাত ভাই জাকির শেখ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিকেলে লিজা সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়। সন্ধ্যার পরও লিজা বাড়ি না ফেরায় পরদিন সকালে সখিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার।
এক সপ্তাহ পর থানার ছৈয়ালকান্দি গ্রামে পাটখেতের পানিতে লিজার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এরপর লিজার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা যায়, লিজা আক্তারের হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও জরায়ুসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেই। পরে শরীরের কিছু অংশ দিয়ে ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত শেষে সখিপুর থানায় দুইজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজ আহমেদ মুঠোফোনে জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে লিজা আক্তার নামে এক শিশুর ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আজ রায় দেওয়া হলো। এতে চাচাসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করব।
সৈয়দ মেহেদি হাসান/এসপি