সরকারি বিদ্যালয়ের নাম মুছে দিলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম মুছে মোহাম্মদপুর সরকারি বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামরাইল ইউনিয়নের গাংগীহাতা গ্রামটির নাম স্থানীয়রা পরিবর্তন করে মোহাম্মদপুর রেখেছেন। ওই গ্রামে গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এটি ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনের দেয়ালে লেখা বিদ্যালয়ের নামটি মুছে মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লিখে দেন। ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভনের অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শোভনের গ্রামের বাড়িও মোহাম্মদপুর গ্রামে।
বিদ্যালয়ের এক কর্মচারী জানান, বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের জন্য গ্রামের লোকজন ছাত্রলীগ নেতা শোভনকে বলে আসছিলেন। এর মধ্যেই গতকাল বিদ্যালয়ের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে।
গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা বেগম জানান, গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের নামটি কে বা কারা মুছে নতুন নাম লিখে দিয়ে গেছে। তখন বিদ্যালয়ে কেউ ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাটি আমি জেনেছি। প্রধান শিক্ষককে বলেছি লিখিতভাবে জানানোর জন্য। যদি গ্রামের লোকজন স্কুলের নাম বদল করতে চায়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। নাম মুছে দিলেই তো আর গেজেট পরিবর্তন হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন জানান, গেজেট অনুযায়ী বিদ্যালয়টির নাম গাংগীহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিষয়টি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, এটা আসলে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ঠিক করে ফেলা হয়েছে। আমি পরে শুনেছি এলাকার ছেলেরা এটা করেছিল।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর