জয়পুরহাটে ৭৮ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
চতুর্থ ধাপে আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর জয়পুরহাট সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত ৮৬টি কেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর মধ্যে ৬৭টি অর্থাৎ ৭৮ শতাংশ কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন অফিস।
ইতিমধ্যে শুধু ব্যালট পেপার ছাড়া সকল ইউপির ভোট কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো শেষ করা হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ভয়ভীতি ও হামলার ঘটনায় শঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ৯টি ইউপিতে ১৪৬২ জন আনসার ও ৫৭২ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং, স্ট্যান্ডবাই ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জেবুন্নেছা শাম্মী জানান, আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর সদরের ৯টি ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৯ ইউনিয়নে ৩২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫১ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জামালপুর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত পদে একজন নির্বাচিত হয়েছেন।
৮৬টি কেন্দ্রে ৫০৩টি ভোট কক্ষ থাকবে। এর মধ্যে ৩৭ কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও ৩০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার রয়েছেন ৮৬ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫০৩ এবং পোলিং অফিসার ১০০৬ জন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান মিঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে কেউ কোনো অপকর্ম করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে শতভাগ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
চম্পক কুমার/এসকেডি