আজিজের বাড়িতে কান্নারও কেউ নেই
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যমজ নাতনি ও মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তিনি।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বরগুনা থেকে টমটম গাড়িতে কফিনে আসে আব্দুল আজিজের চার বছরের যমজ নাতনি লামিয়া ও সামিয়ার মরদেহ। অপরদিকে তার স্ত্রী দুলু বেগম (৫৫) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন মেয়ে শিমু আক্তার (২৬)।
বিকেলে যখন দুই নাতনির মরদেহ আব্দুল আজিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তার ছেলে আবদুল হান্নান, তখন নির্বাক বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ। কষ্টে যেন পাথর বনে গেছেন তিনি। তার বাড়িতে কান্না করারও কেউ নেই।
প্রতিবেশীরা বলেন, আশপাশের অনেকেই এসেছে সান্ত্বনা দিতে। কিন্তু একটি পরিবারের এমন অবস্থায় কী আর সান্ত্বনা দেওয়া যায়। সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা কারো নেই।
স্বজনরা জানান, মা শিমু আক্তার ও নানি দুলু বেগমের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দাদাবাড়ি বেড়াতে বরগুনা যাচ্ছিল তারা। বাবা রফিক হোসেন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের সঙ্গে যাননি। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সামিয়া এবং লামিয়া। তাদের নানি গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় তাদের মা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর