কক্সবাজারে পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ : যুবক আটক
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত দুজনের মধ্যে একজনকে আটক করেছে র্যাব। অভিযুক্ত দুই যুবক হলেন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়া।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম। তিনি জানান, রাতে যে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছিল তার মধ্যে একজনকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় এক গৃহবধূ। দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করে হোটেলত্যাগ করেন তিন যুবক। সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্তের পর আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়াকে আটক করতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। অবশেষে একজনকে আটক করা হয়।
র্যাব আরও জানিয়েছে, আশিকুল ইসলাম চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি। আশিক এলাকায় মাদক কারবার ও যৌনকর্মী সরবরাহের কাজ করেন। আব্দুল জব্বার জয়া তার অন্যতম সহযোগী। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল থেকে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
ওই নারী ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি স্বামী ও আট মাসের সন্তানসহ বুধবার বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে যান। সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে তারা তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি জানালা দিয়ে এক যুবকের সাহায্য নিয়ে নিজেকে উদ্ধার করেন। র্যাবের সহায়তায় তার স্বামী-সন্তানকে পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর জিয়া গেস্ট ইনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে র্যাব। এতে দেখা যায়, তিন যুবক অটোরিকশায় এক নারীকে নিয়ে আসেন। দুজন ওই নারীর সঙ্গে থাকেন। আরেকজন হোটেলের রুম বুকিং দেন। সে সময় রিসিপশনে হোটেলের ব্যবস্থাপক ছোটন ছিলেন।
এরপর তিন যুবক ওই নারীকে নিয়ে ওপরে চলে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যুবকরা বেরিয়ে গেলেও ওই নারীকে নামতে দেখা যায়নি। র্যাব জানায়, এই ফুটেজ থেকে দুজনকে শনাক্তের পর ওই নারীকে তাদের ছবি দেখানো হয়। তিনি তাদের চিনতে পেরেছেন বলে জানান।
এমএসআর