সোনারগাঁয়ে আ.লীগের দুপক্ষের স্ট্যান্ড দখল, গোলাগুলিতে আহত ১২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিটনের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রাইভেট কার স্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলাম খান লিটনের লোকজন দখল করে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। বুধবার দুপুরে বাবুল ওমর বাবুর সমর্থক মনু মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোকজন চাদাঁবাজি বন্ধ করার জন্য বাধা দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় তারা দুপক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ার কারণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়। তাদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর থেকে মদনপুর পযর্ন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিটন বলেন, তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান্ডে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বাবুর লোকজন দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাধা দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বাবুল ওমর বাবু জানান, লিটন খানের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে আসছে। আমার নিজস্ব গাড়ি থেকেও চাঁদা দাবি করে। আমার লোকজন বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শেখ-ফরিদ/এনএ