ছাত্রকে কুপিয়ে জেলে, বেরিয়ে এসে শিশুকে কুপিয়ে হত্যা
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় ৬ বছরের এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন তৌহিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। নিহত শিশুটির নাম মাহবুব আলম রিহান (৬)। সে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হানিফ উল্ল্যাহর ছেলে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে তাহিরপুর উপজেলায় স্কুলপড়ুয়া এক ছাত্রকে দা দিয়ে কুপিয়েছিলেন তৌহিদ। পরে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে ওই ছাত্র বেঁচে ফিরলেও একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় তার। এ ঘটনায় তিনি কারাগারে ছিলেন।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওই শিশু বাড়ির মাঠে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা করার সময় মানসিক ভারসাম্যহীন তৌহিদ হোসেন (২৬) হাতে থাকা দা দিয়ে শিশুকে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী পাগল তৌহিদ হোসেনকে আটক করে।
পরে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পাগলকে আটক করে। মানসিক ভারসাম্যহীন তৌহিদ হোসেন জেলার তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিনের ছেলে।
জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুন নাসের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, তৌহিদ এর আগেও তাহিরপুর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে দা দিয়ে কুপিয়ে ছিল। পরে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচে ফিরলেও একটি চোখ নষ্ট হয়ে হয়ে যায় রফিকুল ইসলামের ছেলের।
এই ঘটনার পর তৌহিদ হাজতবাসে ছিলেন অনেক দিন। জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বোনের বাড়িতেই থাকতেন।
সাইদুর রহমান আসাদ/এমএসআর