ঘর পেল সব হারানো সেই মীম
পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে বাবা-মা ও দুই বোনকে হারিয়ে বেঁচে যায় খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের পানতিতা গ্রামের শিশু মীম। ৩ মে দুর্ঘটনার পর নদীতে একটি ব্যাগ ধরে ভাসছিল মীম। এ সময় নৌপুলিশের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মীমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, ছোট দুই বোন সুমি (৫) ও রুমি (৩) স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা যায়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব হারানো সেই মীম পেল এবার ঘর। খুলনা-৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর নিজস্ব অর্থায়নে গতকাল মঙ্গলবার মীমের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, মীমের উচ্চশিক্ষা থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের জন্য যা যা করার দরকার তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে করা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সামর্থ্য অর্জন করেছে। মানুষের আয় বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও জীবনমান বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বত্রই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই অবকাঠামগত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। শহর এবং গ্রামের ব্যবধান কমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতায় এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে তেরখাদার গোহাট উদ্বোধন, বারাসাত ইউনিয়নের পানতিতা গ্রামের মা-বাবাহারা মীমের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সভায় অংশগ্রহণ, হাড়িখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পে দরিদ্রদের জন্য নির্মিত ঘর বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে চাবি হস্তান্তরসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান শারাফাত হোসেন মুক্তি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, থানার ওসি (অপারেশন) সাইদুর রহমান, নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামান, চেয়ারম্যান কেএম আলমগীর হোসেন, খুলনার শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী গৌতম মজুমদার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি স্পিডবোট কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে এসে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর