বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুকে শোকজ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নব গঠিত কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবির পরদিন তাকে ওই নোটিশ দেওয়া হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষর করা ওই নোটিশের জবাব তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া ওই নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। গতকাল ১২ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে আপনি উক্ত আহ্বায়ক কমিটি সম্পর্কে অযৌক্তিক অভিযোগ করেছেন, যা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবজ্ঞা করার শামিল। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের (খুলনা বিভাগ) মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরেও সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে আপনার আক্রমণাত্নক বক্তব্য প্রদান গুরুতর অসদাচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড।
এজন্য তার বিরুদ্ধে কেনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানিয়ে তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। কখনো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি, দলের স্বার্থ বিরোধী কাজে জড়িত হয়নি। এবারই প্রথম আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব।
তিনি দাবি করেন, ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি নতুন কমিটি গঠনের প্রতিবাদ করেননি। তিনি শুধু পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন। খুলনার বিএনপি বলতে যেসব নেতাকর্মীদের বোঝায় তারা সবাই ওই দাবি করছেন। সত্য গোপন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানেরই ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক হয়েছেন আগের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল আলমকে। আর জেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে আগের সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খানকে।
কমিটিতে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন ঘোষিত কমিটিতে তাকে বাদ দেওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। ওই সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ৩১টি ওয়ার্ডের অধিকাংশেরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি নতুন গঠিত কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই