সহিংসতার ভিডিও করতে গিয়ে ছাত্র নিহতের ঘটনায় ২ মামলা
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় নাসিম হোসেন (১৭) নামে এক কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় তার বাবা নায়েব আলী ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দুটি করেন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারাবাড়িয়া বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্র নাসিম সদর উপজেলার আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমানের সমর্থক ছিল সে। সে দুবলিয়া হাজি জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
নায়েব আলী মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন, ‘তার ছেলে বাজারে ওষুধ কিনতে গিয়েছিল। সেখানে দু’ প্রার্থীর নির্বাচনী সংঘাত চলাকালে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার সময় তিন-চারজন অজ্ঞাতনামা নাসিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।’ এ ঘটনায় তিনি সব আসামিদের আটক করে দৃশ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
এছাড়া আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খান সোমবার রাতে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার প্রচারণায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষ হয়ে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা সোহাগ নিজেই তাকে পেছন থেকে চাকু মেরে হত্যা করেছেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন নিজেই ঘটনাস্থলে এসে শর্টগান দিয়ে গুলি করেছেন। ঘটনাস্থলে বর্তমান চেয়ারম্যান টুটুলও উপস্থিতি ছিলেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় বাজার করতে আসা নাসিম নামে এক কলেজছাত্রর মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিল। পেছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনার পরপরই নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর