নির্বাচনী সহিংসতার ভিডিও করতে গিয়ে কিশোর নিহত
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আনারসের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ চলাকালে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে নাসিম হোসেন (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারাবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর সদরের আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। সে দুবলিয়া হাজি জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। আনারস প্রতীকের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল হক টুটুলের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণায় বের হয়। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খানের সমর্থকরাও প্রচারণায় বের হয়। উভয়পক্ষ তারারবাড়িয়া বাজারে মুখোমুখি হলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংষর্ষ শুরু হয়। ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার প্রচারণায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষ হয়ে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা সোহাগ নিজেই তাকে পেছন থেকে চাকু মেরে হত্যা করেছেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন নিজেই ঘটনাস্থলে এসে শর্টগান দিয়ে গুলি করেছেন।
সদরের নির্বাচন কিন্তু তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান সুজানগরের। ঘটনাস্থলে বর্তমান চেয়ারম্যান টুটুলও উপস্থিতি ছিলেন বলে জানায়। এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী রবিউল হক টুটুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাংবাদিকের কথা শুনে ফোন কেটে দেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময়ে বাজার করতে আসা নাসিম নামে এক কিশোর মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিল। পেছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
রাকিবুল হাসান/এমএসআর