৫০ কিমি. হেঁটে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন বীর মুক্তিযোদ্ধার
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও ময়মনসিংহ হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে ৫০ কিলোমিটার পদযাত্রা করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল। মেঘালয় সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে ময়মনসিংহ নগরী পর্যন্ত হাঁটেন তিনি।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা থেকে টানা প্রায় ১৩ ঘণ্টা হেঁটে এসে ময়মনসিংহ নগরীতে পৌঁছান ৬৯ বছরের বিমল পাল। পথে ফুলপুর, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ সদরের বিভিন্ন স্থানে তাকে শুভেচ্ছা জানায় স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিকরা। পরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মুজিব চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সুধীসমাবেশের মাধ্যমে এই পদযাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখে বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটি।
জানা যায়, মাত্র ১৭ বছর বয়সে ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা হালুয়াঘাটের পাহাড়ি আঁচলে ঢাকা আদিবাসী গ্রাম তেলিখালী থেকে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৭১’র এই বীর সেনা। যুদ্ধের সেই স্মৃতিবিজড়িত হালুয়াঘাট থেকেই ময়মনসিংহ নগরী পর্যন্ত পায়ে হেঁটে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই এই পদযাত্রা। তাই পদযাত্রাটির নাম দিয়েছেন তিনি ‘মেঘালয় থেকে ময়মনসিংহ’।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে অর্থের সীমাবদ্ধতা থাকায় ৫০ কিলোমিটার হাঁটার পরিকল্পনা করেছি আমি। এছাড়াও ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ হানাদারমুক্ত দিবসটি স্মরণীয় রাখতে ৫০ কিলোমিটার হাঁটি। আমি মনে করি সব ভালো কাজে তরুণ প্রজন্মকে সাথে রাখলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদের উজ্জীবিত করা সম্ভব হবে। প্রতি বছরই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’
বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শংকর সাহা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই বীর সেনাকে পাটগুদাম জয় বাংলা চত্বরে শুভেচ্ছা জানান সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। পরে সার্কিট হাউস মুজিব চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সুধীসমাবেশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এ সময় বিমল পালকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা প্রদান করে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
উবায়দুল হক/এমএসআর