বাসচাপায় বাবা-ছেলেসহ ঝরল ৩ প্রাণ
রাজশাহীতে বাবা ও ছেলেসহ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী নগরী ও জেলার গোদাগাড়ীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জেলার তানোর উপজেলার বিল্লী এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (২৯) এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নন্দনপুর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে সাজু মিয়া (৪০) ও তার শিশুপুত্র আব্দুল্লাহ আল আলিফ (১০)।
এদের মধ্যে নাজমুল হোসেন পেশায় গ্রাম্যচিসিৎসক। এলাকায় তার ফার্মেসি রয়েছে। আর সাজু মিয়া বেসরকারি সংস্থা দ্বীপশিখায় গোদাগাড়ীতে কর্মরত ছিলেন। উপজেলার বিজয়নগর এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করতেন তিনি।
গোদাগাড়ী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীল আলম সরকার জানান, সকাল ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে চেপে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন সাজু মিয়া। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের উপজেলার বিজয়নগর বাঁশলীতলা এলাকায় রহনপুর থেকে রাজশাহীগামী বিআরটিসির একটি বাস তাদের চাপা দেয়।
এতে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজশাহী নগর পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক হয়ে নগরীতে প্রবেশ করছিলেন নাজমুল হোসেন। ওয়াসা ভবন-সংলগ্ন সপুরা আহম্মেদ নগর এলাকায় বিপরীতগামী একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে যায়।
এতে দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নাজমুল। খবর পেয়ে সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এসআই মিজান।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর