ভোট দিয়ে খুশি ১১০ বছর বয়সী মোমেনা
একপাশে ছেলের বউ, আরেকপাশে নাতনি। দুজনের হাত ধরে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এলেন ১১০ বছর বয়সী মোমেনা বেগম। বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছেন, তবুও অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের মশুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন তিনি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কথা হয় মোমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, কষ্ট হলেও ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভালো ভোট হয়েছে।
মোমেনা বেগমের পুত্রবধূ বউ শেফালী বেগম বলেন, শাশুড়িকে ভোট দিতে নিয়ে এসেছি, নিজেও দিয়েছি।
মোমেনা বেগমের নাতনি ইমা তাসমিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় এসেছি। কেন্দ্রে প্রচুর ভিড় রয়েছে। তবুও দাদির বয়স বেশি হওয়ায় আগে-ভাগেই ভোট দিতে পেরেছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন।
নলামাড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্দি বিশ্বাস (৭০) অসুস্থ। তবুও এসেছেন ভোট দিতে। ছাগলাদাহ ইউনিয়নের গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনিও খুশি। নান্দি বিশ্বাস বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছি।
তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের দক্ষিণ হাড়িখালী এসএম আবুল বাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন মনোয়ারা বেগম (৬৫)। তিনি বলেন, সকাল ৮টার আগেই কেন্দ্রে এসেছি। অনেক মানুষ এসেছে ভোট দিতে। লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে।
বসুন্দরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের ভোটার নূর আলম বলেন, এমন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগে কখনও ভোট দিয়েছি বলে মনে হয় না। উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিয়েছি।
খুলনা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপে আজ তেরখাদা উপজেলার মধুপুর, আজগড়া, সাচিয়াদাহ, ছাগলাদাহ, তেরখাদা সদর ও বারাসাত ইউনিয়ন এবং রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে ৩১ জন, সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য পদে প্রার্থী ৯০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী ২৭৬ জন।
এ নির্বাচনে ৬৩টি ওয়ার্ডের ৬৮টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৪৮৬ জন পুরুষ ভোটার এবং ৬১ হাজার ৪০৫ জন নারী ভোটার রয়েছে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, খুলনায় উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর