এক কেজি শসার দাম ৫ টাকা
কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমে শসার ব্যাপক ফলন হয়েছে। সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও শসার আবাদ বেশি হয়েছে। শীতের প্রভাব ও বাজারে শসার চাহিদা না থাকায় শসাচাষিরা প্রতি মণ শসা বিক্রি করছেন ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে সদরের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর হাটে প্রতি মণ শসা ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা মণ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন প্রকার আবাদ করা সবজি এখানকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সদর উপজেলায় শসা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। তবে অর্জিত হয়েছে ১৬০ হেক্টর জমিতে।
সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়ন থেকে যাত্রাপুর হাটে শসা বিক্রি করতে আসা বেলাল হোসন বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা না থাকায় পাইকাররা শসা কিনছেন না।
শসার মণ ১০০ টাকায় দিতে চাই, তা-ও নেয় না। কোনো উপায় না পেয়ে ৫ টাকা কেজিতে খুচরা বিক্রি করছি, তাও মানুষ নিচ্ছে না। কিছু বিক্রি করছি অবশ্য আর বাকিটা বিক্রি না হলে বাড়িতে নিয়ে যাব। শীতকাল এসেই শসার চাহিদাটা কমে গেছে। কয়েক দিন আগেও ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ বিক্রি করলাম।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়ন থেকে যাত্রাপুর হাটে শসা বিক্রি করতে আসা রফিকুল নামের আরও একজন জানান, আমি এক বিঘা জমিতে শসা আবাদ করছি। কয়েক দিন আগ পর্যন্ত বাজার ভালো থাকায় আমার আসল টাকা তুলেছি। হাটে চাহিদা না থাকায় আজ হাটে ৫ থেকে ৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কপাল ভালো আগেই আসল টাকা তুলতে পারছি। এখন যা আসে আসুক।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে বাজারে শসার উৎপাদন বেশি আর শীত কালে চাহিদা কম থাকায় হয়তোবা দামটা একটু কম। তবে ওই দিকের কৃষকরা শহরে মার্কেটিং করতে না পারা দাম কমের একটা কারণ।
মো. জুয়েল রানা/এনএ