বাবা চেয়ারম্যান, ৪ ভাই-বোন ইউপি সদস্য প্রার্থী
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮ নম্বর দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বাবা আবদুর রশীদ মোল্লা। ওই ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই ছেলে এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই বোন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
জানা গেছে, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রশিদ মোল্লা দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করছেন। এজন্য ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রশিদ মোল্লার ছেলে জাকির হোসেন মোল্লা (ফুটবল) ও দিদার হোসেন মোল্লা (ঘুড়ি) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়ে তাহমিনা আক্তার ঝর্ণা সংরক্ষিত ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ও জোসনা বেগম সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। দুইজনেরই প্রতীক মাইক। এছাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রশিদ মোল্লার ভাতিজা আবু সুফিয়ান মোল্লা সদস্য পদে (মোরগ) ভোট করছেন। একই পরিবারের ছয়জনের নির্বাচন নিয়ে এলাকায় ভোটারদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
স্থানীয়রা জানায়, রশিদ মোল্লাসহ তার পরিবারের ছয় সদস্য ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাও আবার তার দুই ছেলে একই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী। ভোট শেষে গণনা পর্যন্ত তারা আলোচনায় থাকবেন। সাধারণ ভোটাররা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা উপভোগ করছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার রাজ্জাক হোসেন, রিয়াজ হোসেনসহ কয়েকজন জানায়, এ ওয়ার্ডে দুই ভাই জাকির ও দিদার সদস্য পদে লড়ছেন। পাল্লা দিয়ে দুজনই ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের বাবা চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনিও নিজের জন্য ভোট চেয়ে মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। তাদের নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েকজন নারী ভোটার জানায়, দুই বোন সংরক্ষিত দুটি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। তারা যেমন আপন বোন, তেমনই তাদের প্রতীকেরও মিল রয়েছে। ভোটের ফলাফলে তাদের জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলবে।
জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, জনগণ আমার পাশে আছে। মাঠে বিপুল সাড়া পেয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হলে আমিই সদস্য নির্বাচিত হবো।
দিদার হোসেন মোল্লা বলেন, ভোট দেওয়ার মালিক জনগণ। তাদের পরামর্শেই আমি নির্বাচনে নেমেছি। শেষ পর্যন্ত থাকব।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ মোল্লা বলেন, দলের জন্য অনেক ত্যাগ রয়েছে। কিন্তু দল থেকে আমাকে মূল্যায়ন করেনি। জনগণের সাড়া পেয়ে ভোটের মাঠে নেমেছি। সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ আমাকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে।
ছেলেমেয়েদের নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে রশিদ মোল্লা জানায়, জনগণের সেবার জন্য তারা ভোটের মাঠে নেমেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের প্রমাণিত করে তারা জনগণের সেবা করতে চেয়েছে। নির্বাচন এর অন্যতম মাধ্যম। আমি তাদের উদ্যোগকে সমর্থন করেছি।
প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর দক্ষিণ চরবংশীসহ রায়পুরের ১০ ইউনিয়ন, রামগঞ্জের ১০ ইউনিয়ন ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় নির্বাচন হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি