সাতক্ষীরার আদালতে রিজেন্টের সাহেদ করিম
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে তাকে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতের শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকী আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। ফলে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ফের তাকে আদালতে হাজির করে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন বিচারক। এরপর সাহেদ করিমকে নেওয়া হয় সাতক্ষীরা কারাগারে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাহেদ করিমের অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য্য ছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে সাহেদ করিম। বোরকা পরিহিত সাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে র্যাব-৬ এর সদস্যরা আটক করে। এ সময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয় রুপি, ৩টি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় ওই রাতে সাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রথম তদন্তকারী নিযুক্ত হন দেবহাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল কুমার মৈত্র।
দুইদিন পর র্যাবের এসআই রেজাউল করিম তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০দিনের রিমান্ড নেন সাহেদ করিমকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র সাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় বুধবার সাহেদ করিমকে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আনা হয়।
আকরামুল ইসলাম/এমএসআর