দৌলতদিয়ায় ফেরির নাগাল পেতে ২ দিন ধরে অপেক্ষা
ফেরি স্বল্পতা, ঘাট সংকট ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপ- এই তিন কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের জট লেগেই আছে। ফেরিতে করে নদী পারাপারে সময় লাগছে অনেক বেশি। অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হচ্ছে শত শত যানবাহনের। ২-৩ দিন ধরে অপেক্ষায় থেকেও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না অনেক ট্রাক। এতে ভোগান্তির শেষ নেই চালক ও সহকারীদের।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা এসব যানবাহনের মধ্যে নৈশ কোচ (বাস) ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
অপরদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও তিন কিলোমিটার সড়কে প্রায় তিন শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। এসব ট্রাক দুই-তিন দিনেও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালকদের।
গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে থাকা ট্রাকচালক সালাউদ্দীন শেখ বলেন, দুদিন ধরে একই জায়গায় আটকে আছি। আশপাশে খাবার হোটেল, গোসল, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। গোসল ও টয়লেটের জন্য ৫০ টাকা লাগছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে অন্য রুট ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়, কারণ তেলের দাম বাড়তি। আমরা পড়েছি মহা বিপদে।
আরেক ট্রাকচালক রফিক এসেছেন যশোরের বেনাপোল থেকে। গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আটকে আছেন দুদিন ধরে। তিনি বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যেহেতু ফেরি বন্ধ সেহেতু কর্তৃপক্ষের উচিত এই রুটে ফেরি বাড়ানো। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও এখানে সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। রাতে অনেকেই টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙে আগে চলে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলছে। বাকি চারটি বড় ফেরি ডকইয়ার্ডে রয়েছে। ফেরি স্বল্পতার পাশাপাশি বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপ এই রুটে পড়েছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
মীর সামসুজ্জামান/এসপি/জেএস