সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা হাবিবের ওপর হামলা
সাতক্ষীরায় ১৯ বছর আগে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাই স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হাবিবকে বহনকারী প্রাইভেটকারটিও ভাঙচুর করা হয়েছে।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থানের শেষ দিনে সাতক্ষীরা আদালতের উদ্দেশ্যে বের হন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাই স্কুলের সামনে পৌঁছালে পৌরসভার গদখালী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে রাজনসহ ৭/৮ জন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলা চালিয়েছে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা। সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামকে বহনকারী গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে হাবিবুল ইসলাম হাবিব হামলার স্বীকার হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য সাতক্ষীরা আদালতে অবস্থান করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান বলেন, কতিপয় দুষ্কৃতকারী অতর্কিতভাবে এই হামলা
চালিয়েছে। হঠাৎ করে গাড়ির সামনে এসে তারা গাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। গাড়িতে তখন সাবেক এমপি হাবিব ও তার স্ত্রী-কন্যা ছিলেন। তবে কেউ আহত হননি। গাড়িটির গ্লাস ভেঙে গেছে বলে শুনেছি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে যান শেখ হাসিনা। সাতক্ষীরা থেকে যশোর যাওয়ার পথে যশোর -সাতক্ষীরা সড়কের কলারোয়ায় বিএনপি অফিসের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানো হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। পরে কলারোয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা করেন।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর