আমি পড়ব, বাল্যবিয়ে দিলে আত্মহত্যা করব
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রবাসীর সঙ্গে এক স্কুলছাত্রীর (১৫) বাল্যবিয়ে দিতে অব্যাহত চাপ দিচ্ছে পরিবার। এতে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও তাকে ফের বিয়ে দিতে চাপ দেওয়া হয়। এতে সে সাফ জানিয়ে দেয়, ‘আমি পড়ব। বাল্যবিয়ে দিলেই করব আত্মহত্যা।’
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ঘটনাটি গোপন সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানতে পারেন। তাৎক্ষণিক তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৌহিদুল ইসলামকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে শিক্ষা অফিসার ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বলেন ও পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে আসেন। এ সময় বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পেতে স্কুলছাত্রী সহযোগিতা চায়।
রোববার (৭ নভেম্বর) ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে তার অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আসতে বলেন শিক্ষা কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী উপজেলার হাজিরহাট তোয়াহা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী। সে চরফলকন গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জায়েদ বিল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি যাইনি। শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করতে বলেছেন। সে ভালো ছাত্রী। তার পড়ালেখার ইচ্ছে প্রবল। এসএসসি পরীক্ষা সে ভালো ফলাফল করবে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইউএনওর নির্দেশে ছাত্রীর বাড়িতে গেছি। সে পড়ালেখা করতে চায়। পরিবারের লোকজনকে যথেষ্ট সতর্ক করা হয়েছে। রোববার তার মা-বাবাকে বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রীর পড়ালেখা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসআর