আগাম ধানের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক
ধানের জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর জেলা। দেশের খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত এ জেলা। ইতোমধ্যে ফসলের মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে আমনের আগাম জাতের সোনালি ধান। কৃষকেরা তাই ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগাম জাতের ধান চিরিরন্দর, বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল, উপজেলায় চাষ হয় বেশি।
এ জেলায় মোট আমনের প্রায় ৩০ শতাংশ আগাম জাতের ধান এবং সবচেয়ে বেশি চিকন ও সুগন্ধি জাতের ধান চাষ হয়। চিকন ও সুগন্ধী জাতের ধান উঠতে আরও ১ মাস সময় লাগবে। এলাকা ভেদে আগাম জাতের ধান লাগানো হয় আলুসহ রবি ফসল বপনের জন্য। তবে এবার ধানের ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুশি।
কৃষকেরা বলছেন, এ বছর আমন ধানের উৎপাদন হচ্ছে একরপ্রতি ৪০-৫০ মণ। খরচ হয়েছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। ফলে খরচ বাদ দিয়েও বেশ লাভ উঠছে কৃষকের। পাশাপাশি আমন ধানের জমিতে আগাম আলু চাষাবাদের সুযোগ পাবেন কৃষকেরা।
চিরিরবন্দরের আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের খুনিয়াদিঘীর কৃষক মজিবর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, এবার ২ একর জমিতে আমনের আগাম জাতের ধানের চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। এখন ধানের জমিতে আগাম জাতের আলু লাগাব।
একই এলাকার কৃষক ছমির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১ একর জমিতে আগাম জাতের ধান লাগাইছি। এরই মধ্যে কাটা প্রায় শেষ। অনেক কৃষক বৃষ্টির আগে ধান কেটে বিপাকে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে আগাম জাতের ধান আবাদ করি, ধান উঠার পরে আলু লাগাই। আগাম জাতের ধানে এলাকাবাসীর অভাব দূর করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক খালেদুর রহমান বলেন, বৃষ্টির পরবর্তী আমন ধান পরিচর্যায় কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এবার ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। জেলায় আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।
এমএসআর