মুক্তিযোদ্ধা ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে হত্যা, ৫০ বছর পর মামলা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার কাংশা এলাকার মোস্তাহের বিল্লাহ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য বরকতুল্লাহ, গোলাম আজম, আব্দুল মান্নান ও বাদশা ফকির মোস্তাহের বিল্লাহকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা আব্দুস সালাম মুন্সিকে হত্যা করে।
এ অভিযোগে সালাম মুন্সীর ছোট ছেলে মোশারফ হোসেন খোকন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ৫০ বছর পর বরকত উল্লাহ (৮০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিংগাইর) এ মামলা হয়েছে। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী মোশারফ হোসেনের ভাই মোস্তাহের বিল্লাহ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এতে স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য বরকাতুল্লাহ, গোলাম আজম, আব্দুল মান্নান ও বাদশা ফকির প্রায়ই তাদের বাড়িতে তার মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে খুঁজতে আসত। তাকে না পেয়ে তার পরিবারের ওপর নির্যাতন করত। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাহের বিল্লাহকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে শান্তি কমিটি।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে শান্তি কমিটির এ চার সদস্য মোশারফ হোসেনের ওপর শারীরিক নির্যাতন করে তার বাবা আব্দুস সালাম মুন্সিকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আব্দুস সালাম মুন্সিকে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় শারীরিক নির্যাতন করে ঢাকার সাভারের কর্নপাড়া খালে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মামলার বাদী মোশারফ হোসেন বলেন, চারজন শান্তি কমিটির সদস্যের মধ্যে তিনজন মারা যাওয়ায় একজনের নামে মামলা করেছি। এ মামলায় ৫ জন সাক্ষী রয়েছে। আসামি বরকত উল্লাহের ছেলে প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় মামলা করিনি।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান বলেন, সালাম মুন্সির ছোট ছেলে মোশারফ হোসেন খোকন মামলা করেছেন। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
সোহেল হোসেন/এমএএস
