রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙনে ৫০ মিটার এলাকা বিলীন
রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙন অব্যহত রয়েছে। আজও পদ্মার করালগ্রাসে নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সিসি ব্লকসহ প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে বসতভিটা, মসজিদসহ রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে শহরের ৯নং ওয়ার্ড গোদারবাজার এলাকায় এ ভাঙন দেখা দেয়।
সরেজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার তাণ্ডবে ৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের স্থান থেকে শহর রক্ষা বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৫ মিটার। ভাঙনের স্থানে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলতে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারদের। পাশাপাশি আশেপাশের মানুষজন যে যার মতো তাদের বাড়িঘর ভেঙে অন্যস্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।
জানা গেছে, ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী পদ্মা নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের ফেজ-২ এর সাড়ে ৪ কিলোমিটার নতুন ও ফেজ-১ এর সংশোধিত আড়াই কিলোমিটারসহ মোট ৭ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হয়। তবে জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় ভাঙন। ফলে এখন পর্যন্ত নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প দুটির ২২ স্থানে প্রায় ১ হাজার মিটারের বেশি এলাকার সিসি ব্লক নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল, মসজিদ, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা।
স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম মণ্ডল বলেন, আজকে সকালে হঠাৎ নদী ভাঙন শুরু হলে মুহুর্তে ৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত ভাঙন চলতে থাকে। ভাঙনে আমার বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন আমার ঘর ভেঙে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে জানান, কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে আজ রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে। এখন থেকেই কাজ শুরু না করলে যে কোনো মুহূর্তে ভাঙন শহর রক্ষা বাঁধ ছুয়ে ফেলবে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ স্থানে আগেও একবার ভেঙেছে। তখন জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। আজ নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে জিও ব্যাগ দেবে গিয়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়। ভাঙন ঠেকাতে আবারও জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানি কমে যাওয়ায় তীব্র স্রোতের কারণে এ ভাঙন সৃষ্টি হয়।
মীর সামসুজ্জামান/আরআই