সাবেক স্ত্রী ও তার শাশুড়িকে হত্যার পর শাহজালালের আত্মহত্যা
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাবেক স্ত্রী সুমি আক্তার ও তার শাশুড়ি জমেলা বেগমকে হত্যার পর শাহজালাল আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, উপজেলার কাশতলা খামারপাড়ার সৌদি আরব প্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার শাহজালাল ইসলাম সোহাগ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে সুমি প্রবাসী স্বামীর সংসার ছেড়ে শাহজালালের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারা বিয়ে করে কয়েক মাস সংসারও করে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে শাহজালালকে ছেড়ে সুমি প্রবাসী স্বামীর কাছে ফিরে আসে । এরপরও শাহজালালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে সুমি।
তিনি বলেন, যখন সুমি শাহজালালের কাছ থেকে চলে আসে তখন সে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তবে প্রবাসী স্বামী তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমিকে গ্রহণ করে। এদিকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় ক্ষিপ্ত হয় শাহজালাল। সে সুমিকে হুমকিও দেয়। এই জের ধরে গতকাল (শুক্রবার) রাতে শাহজালাল সুমির বাড়িতে যায়।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, নিহত শাহজালালের পকেট থেকে বাড়ির গেটে লাগানো তালার চাবি পাওয়া গেছে। সুমি তাকে তালার চাবি দিয়েছিল। সেই চাবি দিয়ে সে তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে সুমির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় শাহজালালের। সে সুমির শিশু সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করলে সুমি বাধা দেয়। এ সময় শাহজালাল সুমিকে হত্যা করে। এ সময় সুমির শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাকেও হত্যা করা হয়। পরে সে নিজে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকা থেকে দুই নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কাশতলার খামারপাড়া গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম ও সুমির সাবেক স্বামী কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)। এ সময় সুমির ছেলে শাফি (৩) গুরুতর আহত হয়।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর