প্রকৌশলীর মোটরসাইকেল আটক, ট্রাফিক অফিসের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
পাবনার ঈশ্বরদীতে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মোটরসাইকেল আটকে জরিমানা করায় ট্রাফিক অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাফিক আইনে মোটরসাইকেল আটক ও জরিমানার ঘটনা ঘটে।
এর ৩০ মিনিটের মাথায় শহরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বকেয়া বিলের অজুহাতে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে হিংসাত্মক বলে মনে করছে ট্রাফিক পুলিশ।
ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আজিজুল ইসলাম জানান, পোস্ট অফিস মোড়ে বুধবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন চেকিং চলছিল। এ সময় রাজ: মেট্রো-হ-১১-৮২১২ নম্বর প্লেটের একটি হিরো মোটরসাইকেল আটক করে কাগজপত্র চাওয়া হয়। মোটরসাইকেলের কোনো কাগজ না থাকা এবং মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট না থাকায় বিধি মোতাবেক তিন হাজার টাকা জরিমানা ও মোটরসাইকেলটি আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৫টা ২ মিনিটে মামলা দায়েরের পর ৫টা ৩০ মিনিটেই অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আটক মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন নেসকোর ঈশ্বরদী অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল মিঞা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবির জানান, অনাকাঙিক্ষত একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশ কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল পেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিলের টাকা সরকারি কোষাগার থেকে পরিশোধ করা হয়। বিদ্যুৎ বিলের অর্থ বরাদ্দ আসার পর জরিমানা দিয়েই পরিশোধ হয়ে থাকে। ইতোপূর্বেও একইভাবে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। পুলিশ বিভাগের একটি অফিস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত।
এদিকে নেসকোর ঈশ্বরদীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল নূর তার অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল মিঞার মোটরসাইকেল আটকের ঘটনা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, যাদের বিল বকেয়া আছে, তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল আটক ও জরিমানার ঘটনার সঙ্গে ট্রাফিক অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
রাকিব হাসনাত/আরএআর