শেরপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত শেরপুর সদর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- ১ নং কামারেরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. হাবিবুর রহমান হাবিব এবং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হায়দার আলী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে এবার আওয়ামী লীগের ১৪ জন, জাতীয় পার্টির দুজন এবং ইসলামী ঐক্যজোটের একজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ৪২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে কামারের চর ইউনিয়নে কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাবিব এবং পাকুরিয়া ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল হোসেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় সেখানে হায়দার আলী নির্বাচিত হচ্ছেন।
সদর উপজেলার ১ নং কামারেরচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তিনি তার ইউনিয়ন থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ নিয়ে তিনি টানা দুইবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও টানা তিনবারের মতো নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নটি সদর উপজেলার প্রত্যন্ত একটি এলাকা। এ ইউনিয়নটি শতভাগ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এনেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ‘প্রতিটি গ্রাম হবে শহর’কে বাস্তবায়ন করতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। এবারের মেয়াদকালে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারব।
৬ নং পাকুরিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হায়দার আলী বলেন, দ্বিতীয় দফায় চেয়ারমান নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হুইপ আতিককে ধন্যবাদ। এবার নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীর ভোগান্তি দূর করতে প্রথমে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করবে। এ ছাড়া আমি বিগত পাঁচ বছরে ইউনিয়নের ২৮টি পাকা সড়ক নির্মাণ, শতভাগ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এনেছি।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের দাখিল করা কাগজপত্র সব ঠিক থাকলে হাবিব ও হায়দার আলীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে কোনো বাধা নেই।
জাহিদুল খান সৌরভ/এসপি