জয়পুরহাটে যৌন হয়রানির ৭ স্থানের নাম বললেন এক ঘণ্টার এসপি
এক ঘণ্টার প্রতীকী পুলিশ সুপারের (এসপি) দায়িত্ব পালনকালে জয়পুরহাট জেলা শহরে যৌন হয়রানি, কিশোর গ্যাং ও বখাটেদের ঘোরাফেরার ৭ স্থানের নাম বলেছেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত মাহিরা। এ সময় সে বিদ্যালয় খোলার পর শিশুদের অনুপস্থিতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞার কাছে থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) জয়পুরহাটের শিশু সাংবাদিক নুসরাত মাহিরা।
দায়িত্ব গ্রহণ করে নুসরাত মাহিরা বলেন, এক বছরে অসচেতনতা বা দরিদ্রতা দেখিয়ে জয়পুরহাটে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এনসিটিএফের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিদ্যালয় খোলার পর শিশুদের অনুপস্থিতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনসহ বিভিন্ন এনজিও কয়েক বছর তৎপর ছিলো তবুও রোধ করা সম্ভব হয়নি।
নুসরাত মাহিরা আরও বলেন, দেশব্যাপী যৌন হয়রানি নারী-শিশুদের ভোগান্তির একটি অন্যতম কারণ। জয়পুরহাটের প্রতিটি অলিগলি, রাস্তাঘাটে, বিদ্যালয়ের পথগুলোতে যৌন হয়রানির প্রভাব রয়েই গেছে। যৌন হয়রানিতে দেখা গেছে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে থেকে এলাকার কিশোর গ্যাং জড়িত। বখাটে ছেলেরাও ঘুরাফেরা করে।
নুসরাত মাহিরা জানান, শহরের হাজী মাদরাসা রোড, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ও পেছনের অলিগলি, জয়পুরহাট সদর থানা স্কুলের দুটি গলি, নতুন হাট, রেল স্টেশনের সামনে, বদরউদ্দিন রোড, বকুল ছাত্রীনিবাসের নাম বেশি শোনা গেছে।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা এনসিটিএফ’র সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খিস্ট্রান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশে বসবাস করছি। এখানে আমরা কেউ মনে করি না যে আমার পাশের বাড়ির লোকটা হিন্দু না মুসলমান। আমরা মনে করি তিনি আমার প্রতিবেশী। এ রকম পরিবেশে আমরা বেড়ে উঠেছি। এইটাকে তোমাদের জাগ্রত করতে হবে।
এনসিটিএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম (অপরাধ ও প্রশাসন), এনিসিটিএফের জেলা উপদেষ্টা তিতাস মোস্তফা, জেলা ভলান্টিয়ার তৃষা রানী, সালেহুর রহমান সজীব, জেলা কমিটির সভাপতি কেএম সাজিন, সম্পাদক লেফতাকুল মদিনা, শিশুগবেষক ফারহানা আফরিন সাথী প্রমুখ।
চম্পক কুমার/এমএসআর