জলঢাকায় বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি দেড় হাজার পরিবার
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
সকালে পানির তোড়ে ফ্লাড বাইপাস ভেঙে নীলফামারী-লালমনিরহাট সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর পরেই ডিমলার কালিগঞ্জ গ্রোয়েন বাঁধ ভেঙে ৪০০ পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক শ পরিবার।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জলঢাকার শৌলমারী ইউনিয়নের বিএসসিপাড়া-সংলগ্ন মূল সুরক্ষা বাঁধের ১৫০ মিটার ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ১ হাজার ৫০০ পরিবার বন্দি হয়ে পড়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে মূল বাঁধের উঁচু অংশে।
শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ কুমার রায় ঢাকা পোস্টকে জানান, সকাল থেকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে। বিকেলের মূল সুরক্ষা বাঁধ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় স্থানীয়ভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। শত শত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাউবোর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা প্রিন্স জানান, বুধবার রাত ৯টায় নীলফামারীর ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যায় শৌলমারী বাঁধ ভেঙে গেছে। জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডিমলার ছাতুনামাসহ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এমএসআর