উপহারের ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের অভিযোগ
সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বামনগ্রামসহ আরও দুটি গ্রামের অন্তত ৩০-৪০ হতদরিদ্র ব্যক্তির কাছ থেকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লার চাচাতো ভাই রেজাউল ও আরজু ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে ২৫-৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
ভূক্তভোগী ধানবিলা গ্রামের আবু হানেফের ছেলে আছাদ আলী বলেন, সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য অন্যদের মতো আমিও প্রায় দেড় বছর আগে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রেজাউলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু আমাকে ঘর দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী বামনগ্রামের মৃত সুলতান শেখের ছেলে সুজন শেখ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রেজাউল ও আরজু আমার কাছ থেকে দুই বছর আগে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। চেয়ারম্যান নিজ হাতে টাকা না নিয়ে তাদের দিয়ে টাকা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমি ঘর পাইনি। কয়েকবার টাকা চাইতে গেলে তারা বলে অফিসে টাকা দেওয়া হয়েছে, অফিস টাকা ফেরত দিলে তোমাদেরও টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
অভিযুক্ত রেজাউল ও আরজু জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তারা কারও কাছ থেকে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেননি। সামনে ইউপি নির্বাচন। বর্তমান চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিনকে বেকায়দায় ফেলতে প্রতিপক্ষের লোকজন সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে এই অভিযোগ দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়।
ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, শুনেছি আমার নাম ভাঙিয়ে এলাকার কিছু মানুষ ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। ঘটনাটি আমি কিছুই জানি না। যারা টাকা দিয়েছে তারাও আমাকে কিছুই বলেনি। বুধবার কয়েকজন এসে আমাকে বিষয়টি জানাই। তাদের বলেছি, এখন আমি কিছুই করতে পারবো না। পরে সময় নিয়ে বসে এর সুরাহা করা হবে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাকিব হাসনাত/এসপি