৯ বছর পর পুলিশের সহায়তায় মা-বাবাকে পেল শিশুটি
ফরিদপুরের মধুখালীতে ৯ বছর পর পুলিশের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরল খাগড়াছড়ির মো. ইমরান হোসেন (১৫)। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ৯ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ইমরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে ফরিদপুরের মধুখালী থানা পুলিশ।
জানা গেছে, ২০১১ সালে নেত্রকােনা জেলার পূর্বধলা এলাকার মাওলানা মো. নুরুল ইসলামের বাড়িতে জায়গির থেকে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করত ইমরান। প্রায় ১ বছর থাকার পর পাশের ঢেউডুকুম বাজার থেকে নিখোঁজ হয় সে। নুরুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ইমরানের কোনো সন্ধান পায়নি। পরে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল পূর্বধলা থানায় ইমরানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে মো. নুরুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, রোববার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে মধুখালীর কামালদিয়া ইউনিয়নের ঝাউহাটি গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫৭) মধুখালী থানায় গিয়ে ইমরানকে পাওয়ার কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, ইমরান হোসেন খাগড়াছড়ি সদরের লক্ষীছড়ি এলাকার ময়ুরখালী মহিষকাটা গ্রামের মো.আলী আহম্মদ ও অজিফা বেগমের সন্তান। এখন তার বয়স ১৫ বছর। ৯ বছর ইমরান হোসেন মধুখালীর কামালদিয়া ইউনিয়নের ঝাউহাটি গ্রামের বাসিন্দা নুরজাহান বেগমের কাছে লালিত হন।
নুরজাহাম বেগম বলেন, ৯ বছর আগে রায়পুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা বাজারে শিশু ইমরানকে আমি পাই। তখন ওর বয়স ৬/৭ বছর হবে। সে বাজারে কান্নাকাটি করছিল। পরে আমার স্বামী আব্দুল জলিলকে বলে ওকে বাড়িতে এনে লালন-পালন করি। ৯ বছর ধরে সে আমাদের কাছেই বড় হয়েছে। তখন সে বাবা মায়ের নাম বলতে পারলেও বিস্তারিত কিছু বলতে পারেনি। এখন বিস্তারিত বলতে পারায় পুলিশের সহযোগিতায় তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ইমরান হোসেনের বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি এলাকায়। লক্ষীছড়ি থানায় যোগাযোগ করে ইমরানের আসল পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে মধুখালী থানার মাধ্যমে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইমরানের বাবা মো. আলী আহম্মদ দীর্ঘদিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশ ও নুরজাহান বেগমের প্রতি।
জহির হোসেন/আরআই