মোবাইলে পরিচয়, দুই পোশাকশ্রমিককে দাওয়াত দিয়ে অপহরণ
সাকিল মিয়া (৩০) ও আব্দুস সাত্তার (২৮) নামে দুই পোশাকশ্রমিকের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় কুড়িগ্রামের রঞ্জু মিয়া নামে এক যুবকের। পরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সেই সুবাদে নিজ গ্রামে ওই দুজনকে দাওয়াত করেন রঞ্জু। সম্পর্কের টানে দাওয়াতে কুড়িগ্রাম চলে আসেন তারা। পরে ওই দুই পোশাকশ্রমিককে অপহরণ করে নেওয়া হয় দুর্গম চরাঞ্চলে। মারধরের পর তাদের কাছে দাবি করা হয় মোটা অংকের মুক্তিপণ।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে কুড়িগ্রামের একটি দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান চালায় র্যাব-১৩। সেখান থেকে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেন তারা।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরে র্যাব-১৩ এর সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস। অপহরণের শিকার ওই দুইজনকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক জানান, ঢাকার দুই পোশাকশ্রমিকের সাথে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্ব করে সখ্যতা গড়ে তোলে কুড়িগ্রামের রঞ্জু মিয়া নামে এক অপহরণকারী। পরে ওই দুইজনকে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের নিজ বাড়িতে দাওয়াত করে এনে মারধর ও চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী রঞ্জু ও তার সহযোগিরা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাইয়ের অভিযােগের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চরধাউড়া কুঠি গ্রামের চরাঞ্চলে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণের শিকার ওই দুজনকে ফেলে রেখে তারা সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চরধাউড়া গ্রামের আনােয়ার হােসেনের ছেলে জুবাইদুর আলম (২১) ও মুজিবুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম (২১। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজন সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাব-১৩ অধিনায়ক।
আরআই