মুহিবুল্লাহ হত্যার ক্লু উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ
রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাদের দুইজনকে ইতোমধ্যে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে পুলিশ বলছে, এ মামলার তদন্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটনে কাজ করার কথা জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত আসামি ও ক্লু উদঘাটনের সর্বোচ্চ জনবল প্রয়োগ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ে একটি রেজাল্ট দিতে পারব।
নিহত মুহিবুল্লার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশের এ মুখপাত্র বলেন, যদি মুহিবুল্লার পরিবার চায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল অডিওসহ যে সব বিষয় সামনে আসছে সব গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রোববার আরও একজনকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। রোববার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গার নাম মো. ইলিয়াস (৩৫)। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
পরে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থানকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ।
এ ঘটনায় পরদিন রাতে উখিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার বাদী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।
১ অক্টোবর দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৬ থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে মোহম্মদ সেলিম (৩৩) (প্রকাশ লম্বা সেলিম) নামে একজনকে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গ্রেফতার করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
শনিবার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম নামের আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে ১৪ এপিবিএন।
একই দিন বিকেলে ক্যাম্প-৭ থেকে শওকত উল্লাহ (২৩) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সেলিম ও শওকতের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মুহিব/এমএসআর