এহসানের মাঠকর্মী ইমামের পেছনে কেউ নামাজ পড়তে চান না
পিরোজপুরে এহসান গ্রুপে গ্রাহকের জমাকৃত টাকা ফেরত না দেওয়ায় রাগীব অহসান ও তাদের ভাইদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছেন জেলার নাজির উপজেলার কারি মো. শামসুল হক। পিরোজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ সেপ্টেম্বর ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার ৯৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যাপারে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৩ নং দেউলবাড়ি-দোবড়া, মালিখালী, কলারদোয়ানিয়া ও নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের এহসান গ্রুপের একদল মাঠকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মাঠকর্মীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী মো. শামসুল হকের ছেলে মাঠকর্মী মাওলানা মাসউদুর রহমান বলেন, সুদমুক্ত সমাজ গড়ার কথা বলে এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসান বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। তার এ সুদবিহীন বিনিয়োগের দাওয়াতে উদ্বৃদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ফিল্ড অফিসাররা (এফও) টাকা এনে এহসানে জমা রাখেন। বিভিন্ন সময় টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত চেয়ে না পেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩ হাজার ৯৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলাটি করা হয়।
এ সময় তিনি বলেন, উল্লিখিত চারটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের প্রায় ছয় কোটি টাকার ওপর জমা আছে এহসান গ্রুপের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাঠকর্মী মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামরা আক্ষেপ করে বলেন, আজ এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে এলাকার তিন-চারটি মাদ্রাসা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকার সাধারণ মুসল্লিরা এখন মাঠকর্মী ইমামদের পেছনে নামাজও আদায় করতে চান না।
সংবাদ সম্মেলনে মাঠকর্মীরা প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এহসানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ যা কিছু আছে, অবিলম্বে সব বাজেয়াপ্ত করে সাধারণ গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।
মো. আবীর হাসান/এনএ